৫৪ বছর পর আজ যশোর-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু - Jashore24.com

শিরোনাম

৫৪ বছর পর আজ যশোর-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

যশোর-কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন

দীর্ঘ ৫৪ বছর পর আজ যাত্রা শুরু করছে যশোর-কলকাতার যাত্রীবাহী ট্রেন 'বন্ধন এক্সপ্রেস'। সংরক্ষিত দুশ আসন নিয়ে যশোরে থামবে খুলনা-কলকাতা রুটে চলাচলকারী আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী এই ট্রেন। যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে এই স্টপেজ চালু হচ্ছে।

স্বাধীনতার আগে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত যশোর অঞ্চল থেকে কলকাতার সাথে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ ছিল। পরে ২০১৭ সালে খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হলেও যশোরে কোনো স্টপেজ ছিল না।

২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর খুলনা থেকে কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী বন্ধন ট্রেনটি চালু হয়। ৫শ' টাকা ভ্রমণ করসহ ভাড়া নির্ধারণ করা হয় দেড় হাজার টাকা ও দুই হাজার টাকা। কিন্তু ভাড়া বেশি আর খুলনা থেকে ভারতে গমনেচ্ছু পাসপোর্টধারী যাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ায় বন্ধনে আশানুরূপ যাত্রী হয়নি। এদিকে, যশোরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ওই ট্রেনটির যশোরে স্টপেজ দেয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়। এই দাবির প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে যশোর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামবে।

যশোর থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। বাংলাদেশ অংশের যাত্রীদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে। আর ভারতীয় অংশে এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে কলকাতার চিৎপুর রেলওয়ে স্টেশনে। এজন্য দুই স্টেশনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। কলকাতা থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় ছাড়বে বন্ধন, যশোরে এসে পৌঁছবে সাড়ে ১১টায়। এরপর খুলনায় পৌঁছবে দুপুর সাড়ে ১২টায়। ফের এই ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে খুলনা থেকে দুপুর দেড়টায় যাত্রা শুরু করে যশোরে পৌঁছবে আড়াইটায়। আর কলকাতায় পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

যশোর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার পুস্পল কুমার চক্রবর্তী জানান, ৬ মার্চ দুপুর পর্যন্ত ভারতে যাওয়ার জন্যে ত্রিশটি টিকিট বিক্রি হয়েছে। ট্রেনটি চলাচলের জন্যে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রথম ট্রেনের টিকিট ক্রয়কারী যাত্রী রবীন্দ্রনাথ সড়কের ব্যবসায়ী মাহাবুব উদ্দিন বলেন, মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে আমরা কলকাতা পৌঁছতে পারব। এটা খুবই আনন্দের কথা। তবে টিকিটের দাম কিছুটা কম হলে ভালো হয়।

তবে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটির ভাড়া কমানো এবং সপ্তাহে একদিন চলাচলকারী ট্রেনটি অন্তত দু'দিন চালানোর দাবি করেছেন যাত্রীরা। শহরের রেলগেট এলাকার ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, বন্ধন ট্রেনের ভাড়া কমানো এবং সপ্তাহে অন্তত দু'দিন চালানোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ অনেকেই ভারতে গিয়ে তিন, চারদিনের মধ্যে ফিরে আসতে চান। ফলে তারা যাওয়া এবং আসা দুটোই এই ট্রেনে করতে পারবেন। পাশাপাশি যশোরে যাত্রাবিরতি হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
close