এবার কৃষকের মৃত্যু: যশোর কিংস হসপিটালে ভুল অস্ত্রোপচারের রেকর্ড!
এবার কৃষকের মৃত্যু: যশোর কিংস হসপিটালে ভুল অস্ত্রোপচারের রেকর্ড! |
এবার যশোর শহরের কিংস হসপিটালে ভুল অস্ত্রোপচারে মোহাম্মদ আলী (৫৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মোহাম্মদ জেলার মণিরামপুর উপজেলার রোহিতা ইউনিয়নের বাগডোব গ্রামের বুধোই মোড়লের ছেলে।
অভিযোগ উঠেছে, বিএমএ ও স্বাচিপ নেতাদের মালিকানা কিংস হসপিটালে ভুল অস্ত্রোপচারে রেকর্ড গড়া হচ্ছে।
এর আগে হসপিটালটিতে সিজারে নবজাতকের মাথা কাটার ঘটনায় ডা. আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।
অপরদিকে, রোগীর পাইলসের পরিবর্তে জরায়ু অস্ত্রোপচারের ঘটনায় ডা. সাদিয়া শাহীনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে তিনদিন আগে। ইতিমধ্যে তাকে সতর্ক করেছেন সিভিল সার্জন। এরই মধ্যে বেসরকারি এ হাসপাতালে ডা. এনকে আলমের ভুল অস্ত্রোপচারে মারা গেলেন কৃষক মোহাম্মদ আলী (৫৫)।
মৃতের ছেলে শাহিন হোসেন জানান, তার পিতা মোহাম্মদ আলী গত ১৩ জুন হঠাৎ পেটে ব্যাথায় আক্রান্ত হন। ওই সময় তাকে ভর্তি করা হয় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের কোনো ডাক্তার তাকে না দেখার কারণে ভর্তি অবস্থায় রোগীকে আনা হয় কিংস হসপিটালে ডা. মাহমুদুল হাসান পান্নুর কাছে। ফিস দিয়ে তাকে দেখানো হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো রোগীকে দেখিয়ে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। চিকিৎসাসেবা নিয়ে তার কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর তাদের সামনে পড়ে কিংস হসপিটালের ম্যানেজার তাপস।
তিনি রোগী সম্পর্কে শোনার পর তাদের বলেন, সরকারি হাসপাতালে এ রোগী রাখা মানেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া। তার কথা মতো রোগীকে কিংস হসপিটালে এনে ভর্তি করা হয়। ডা. পান্নু ঢাকায় চলে যাওয়ার পর ওই রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এনকে আলম। তিনি রোগীকে ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ভর্তির দুইদিন পর অস্ত্রোপচার করেন। ২৯ জুন তাকে ছাড়পত্র দেয়া হলে তারা বাড়িতে চলে যান।
শাহিন হোসেন আরো জানান, বাড়িতে যাওয়ার রাতেই তার পিতা মোহাম্মদ আলীর পেট ফুলে যায়। বমি করতে থাকে। যে কারণে ৩০ জুন ফের তাকে কিংস হসপিটালে ভর্তি করা হয়। ডা. এনকে আলম ২ জুলাই তাকে ফের অস্ত্রোপচার করেন ৩০ হাজার টাকার চুক্তিতে। সেই থেকে রোগী কিংস হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মারা যান রোগী মোহাম্মদ আলী। এদিন রাতে পিতার মৃতদেহ নিয়ে তারা বাড়ি ফেরেন।
সিজারে মাথা কাটা নবজাতক ও তার মা
ছেলে শাহিনসহ স্বজনদের অভিযোগ, ভুল অস্ত্রোপচারে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি হাটতে বাড়ি থেকে আসলেন আর ফিরলেন লাশ হয়ে। দীর্ঘ সময় চিকিৎসা বাবদ তাদের দুই লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে।
এ বিষয়ে ডা. এনকে আলম বলেন, ওই রোগী পেটের নাড়ি দীর্ঘদিন পেচিয়ে থাকায় গ্যাংরিন হয়ে যায়। খারাপ অবস্থায় সেখানে রোগীকে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় স্বজনদের বলা হয়েছিলো রোগী মারা যেতে পারে। ভুল অস্ত্রোপচার করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, ১০ জুলাই প্রসূতি নাজনীন নাহার পলির সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নবজাতকের মাথা কাটার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শুরুর জন্য মঙ্গলবার কমিটির সদস্যের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটিতে যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হক রাজুকে প্রধান করা হয়েছে। অন্য দুই জন হলেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল শিশু সার্জন ডা. আনসার উদ্দিন ও গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সঞ্চিতা অধিকারি মিষ্টি। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্ত চিকিৎসক আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এরআগে ১ জুলাই কিংস হসপিটালে যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী ছায়রা বেগমের (৪৫) পাইলসের পরিবর্তে জরায়ু অস্ত্রোপচারের খবরে স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড় হয়। ভুয়া ডিগ্রিধারী ডা. সাদিয়া শাহীনের বিরুদ্ধে ২ জুলাই যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হারুন অর রশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন। স্বজনদের সাথে আলোচনা না করে জরায়ু কাটার বিষয়ে ডা. সাদিয়া শাহীনকে প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে সিভিল সার্জন বলেন, ভুল অস্ত্রোপচারে মারা যাওয়া মোহাম্মদ আলীর স্বজনরা কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, কিংস হসপিটালে একের পর এক ভুল অস্ত্রোপচারের ঘটনায় নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, বিএমএ ও স্বাচিপ নেতাদের মালিকানা কিংস হসপিটালে ভুল অস্ত্রোপচারে রেকর্ড গড়া হচ্ছে।
এর আগে হসপিটালটিতে সিজারে নবজাতকের মাথা কাটার ঘটনায় ডা. আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।
অপরদিকে, রোগীর পাইলসের পরিবর্তে জরায়ু অস্ত্রোপচারের ঘটনায় ডা. সাদিয়া শাহীনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে তিনদিন আগে। ইতিমধ্যে তাকে সতর্ক করেছেন সিভিল সার্জন। এরই মধ্যে বেসরকারি এ হাসপাতালে ডা. এনকে আলমের ভুল অস্ত্রোপচারে মারা গেলেন কৃষক মোহাম্মদ আলী (৫৫)।
মৃতের ছেলে শাহিন হোসেন জানান, তার পিতা মোহাম্মদ আলী গত ১৩ জুন হঠাৎ পেটে ব্যাথায় আক্রান্ত হন। ওই সময় তাকে ভর্তি করা হয় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের কোনো ডাক্তার তাকে না দেখার কারণে ভর্তি অবস্থায় রোগীকে আনা হয় কিংস হসপিটালে ডা. মাহমুদুল হাসান পান্নুর কাছে। ফিস দিয়ে তাকে দেখানো হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো রোগীকে দেখিয়ে আবার হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। চিকিৎসাসেবা নিয়ে তার কক্ষ থেকে বের হওয়ার পর তাদের সামনে পড়ে কিংস হসপিটালের ম্যানেজার তাপস।
তিনি রোগী সম্পর্কে শোনার পর তাদের বলেন, সরকারি হাসপাতালে এ রোগী রাখা মানেই মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া। তার কথা মতো রোগীকে কিংস হসপিটালে এনে ভর্তি করা হয়। ডা. পান্নু ঢাকায় চলে যাওয়ার পর ওই রোগীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এনকে আলম। তিনি রোগীকে ১৫ হাজার টাকার চুক্তিতে ভর্তির দুইদিন পর অস্ত্রোপচার করেন। ২৯ জুন তাকে ছাড়পত্র দেয়া হলে তারা বাড়িতে চলে যান।
শাহিন হোসেন আরো জানান, বাড়িতে যাওয়ার রাতেই তার পিতা মোহাম্মদ আলীর পেট ফুলে যায়। বমি করতে থাকে। যে কারণে ৩০ জুন ফের তাকে কিংস হসপিটালে ভর্তি করা হয়। ডা. এনকে আলম ২ জুলাই তাকে ফের অস্ত্রোপচার করেন ৩০ হাজার টাকার চুক্তিতে। সেই থেকে রোগী কিংস হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৬ জুলাই সন্ধ্যায় মারা যান রোগী মোহাম্মদ আলী। এদিন রাতে পিতার মৃতদেহ নিয়ে তারা বাড়ি ফেরেন।
সিজারে মাথা কাটা নবজাতক ও তার মা
ছেলে শাহিনসহ স্বজনদের অভিযোগ, ভুল অস্ত্রোপচারে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি হাটতে বাড়ি থেকে আসলেন আর ফিরলেন লাশ হয়ে। দীর্ঘ সময় চিকিৎসা বাবদ তাদের দুই লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হয়েছে।
এ বিষয়ে ডা. এনকে আলম বলেন, ওই রোগী পেটের নাড়ি দীর্ঘদিন পেচিয়ে থাকায় গ্যাংরিন হয়ে যায়। খারাপ অবস্থায় সেখানে রোগীকে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় স্বজনদের বলা হয়েছিলো রোগী মারা যেতে পারে। ভুল অস্ত্রোপচার করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, ১০ জুলাই প্রসূতি নাজনীন নাহার পলির সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নবজাতকের মাথা কাটার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, তদন্ত কার্যক্রম শুরুর জন্য মঙ্গলবার কমিটির সদস্যের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটিতে যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হক রাজুকে প্রধান করা হয়েছে। অন্য দুই জন হলেন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল শিশু সার্জন ডা. আনসার উদ্দিন ও গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সঞ্চিতা অধিকারি মিষ্টি। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্ত চিকিৎসক আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এরআগে ১ জুলাই কিংস হসপিটালে যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী ছায়রা বেগমের (৪৫) পাইলসের পরিবর্তে জরায়ু অস্ত্রোপচারের খবরে স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড় হয়। ভুয়া ডিগ্রিধারী ডা. সাদিয়া শাহীনের বিরুদ্ধে ২ জুলাই যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হারুন অর রশিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় জানান, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন। স্বজনদের সাথে আলোচনা না করে জরায়ু কাটার বিষয়ে ডা. সাদিয়া শাহীনকে প্রথমবারের মতো সতর্ক করা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে সিভিল সার্জন বলেন, ভুল অস্ত্রোপচারে মারা যাওয়া মোহাম্মদ আলীর স্বজনরা কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, কিংস হসপিটালে একের পর এক ভুল অস্ত্রোপচারের ঘটনায় নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
No comments