মিন্নিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়ার দাবি রিফাতের বাবার
বরগুনায় প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ।
শনিবার রাত ৮টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দুলাল শরীফ লিখিত বক্তব্যে বলেন, 'মিন্নির সাথে মামলার প্রধান আসামি (পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত) নয়ন বন্ডের বিয়ের খবর মিন্নি ও তার পরিবার সুকৌশলে গোপন রাখে এবং নয়নের সাথে বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় শরিয়া বহির্ভূতভাবে রিফাতের সাথে বিয়ে করেছে। এমনকি রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পর নয়ন বন্ডের সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে সে।'
দুলাল শরীফের দাবি, ঘটনার আগের দিন ২৫ জুন সকাল ৯টার দিকে এবং সন্ধ্যায় নয়নের বাসায় যায় মিন্নি।
তিনি বলেন, মিন্নি অন্যান্য দিন রিফাতকে ছাড়া কলেজে গেলেও ঘটনার দিন রিফাতকে কলেজে ডেকে নিয়ে যায়। ঘটনার পূর্বমুহূর্তে কলেজগেট থেকে মিন্নিকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে আসতে চাইলেও মিন্নি চক্রান্তকারীদের উপস্থিতি না দেখে কালক্ষেপনের জন্য পুনরায় কলেজের দিকে ফিরে যাচ্ছিল এবং রিফাত মিন্নিকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছিল যা ভিডিও ফুটেজ দেখলে প্রমাণিত হবে।
রিফাতের বাবা আরও বলেন, রিফাতকে যখন আসামি রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী ও তার সহযোগিরা জাপটে ধরে মারপিট করতে নিয়ে যায়, তখন মিন্নি অত্যন্ত সাবলীল ভঙ্গিতে পিছনে হাঁটছিল, যা একজন স্ত্রীর কাছে প্রত্যাশিত নয়। তাছাড়া রিফাত শরীফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করলেও মিন্নির শরীরে কোন আঘাত করেনি সন্ত্রাসীরা। এমনকি হামলার পর রিফাত রক্তাক্ত অবস্থায় একা রিক্সায হাসপাতালে যাচ্ছিল তখন মিন্নি তার ব্যাগ ও সেন্ডেল গোছানোর কাজেই বেশি ব্যস্ত ছিল এমনকি আসামিদের একজন রাস্তা থেকে ব্যাগ তুলে দিচ্ছিল মিন্নির।
তিনি বলেন, এছাড়া রিফাত শরীফকে অ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও মিন্নি রিফাতের সাথে বরিশাল যায়নি। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মিন্নিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান দুলাল শরীফ।
নিহত রিফাতের বাবা প্রশ্ন তুলে বলেন, পুলিশ কেন এখনও মিন্নিকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মিন্নির বাবা মো. মোজ্জাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, রিফাতের বাবা দুলাল শরীফের অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট এবং কাল্পনিক। তিনি আমাদের হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এসব অভিযোগ আনছেন।
তিনি আরও দাবি করেন, মিন্নির শ্বশুর তার নিজের বুদ্ধিতে এসব করছেন না, কারো প্ররোচনায় পড়ে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আনছেন। দুলাল শরীফ শারীরিক এবং মানুষিক ভাবে অসুস্থ বলেও তিনি দাবি করেন।
কিশোর আরও বলেন, মিন্নি যদি জড়িত থাকে এ ব্যাপারে প্রশাসন অবশ্যই দেখতে পারে এ ব্যাপারে আমার কোন অভিযোগ নাই। মিন্নি এ মুহূর্তে শারীরিক এবং মানুষিকভাবে অসুস্থ বলেও দাবি তার বাবার।
গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত শরীফকে। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিনজনসহ সাত আসামি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
শনিবার রাত ৮টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে দুলাল শরীফ লিখিত বক্তব্যে বলেন, 'মিন্নির সাথে মামলার প্রধান আসামি (পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত) নয়ন বন্ডের বিয়ের খবর মিন্নি ও তার পরিবার সুকৌশলে গোপন রাখে এবং নয়নের সাথে বিয়ে বলবৎ থাকা অবস্থায় শরিয়া বহির্ভূতভাবে রিফাতের সাথে বিয়ে করেছে। এমনকি রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পর নয়ন বন্ডের সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে সে।'
দুলাল শরীফের দাবি, ঘটনার আগের দিন ২৫ জুন সকাল ৯টার দিকে এবং সন্ধ্যায় নয়নের বাসায় যায় মিন্নি।
তিনি বলেন, মিন্নি অন্যান্য দিন রিফাতকে ছাড়া কলেজে গেলেও ঘটনার দিন রিফাতকে কলেজে ডেকে নিয়ে যায়। ঘটনার পূর্বমুহূর্তে কলেজগেট থেকে মিন্নিকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে আসতে চাইলেও মিন্নি চক্রান্তকারীদের উপস্থিতি না দেখে কালক্ষেপনের জন্য পুনরায় কলেজের দিকে ফিরে যাচ্ছিল এবং রিফাত মিন্নিকে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছিল যা ভিডিও ফুটেজ দেখলে প্রমাণিত হবে।
রিফাতের বাবা আরও বলেন, রিফাতকে যখন আসামি রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী ও তার সহযোগিরা জাপটে ধরে মারপিট করতে নিয়ে যায়, তখন মিন্নি অত্যন্ত সাবলীল ভঙ্গিতে পিছনে হাঁটছিল, যা একজন স্ত্রীর কাছে প্রত্যাশিত নয়। তাছাড়া রিফাত শরীফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করলেও মিন্নির শরীরে কোন আঘাত করেনি সন্ত্রাসীরা। এমনকি হামলার পর রিফাত রক্তাক্ত অবস্থায় একা রিক্সায হাসপাতালে যাচ্ছিল তখন মিন্নি তার ব্যাগ ও সেন্ডেল গোছানোর কাজেই বেশি ব্যস্ত ছিল এমনকি আসামিদের একজন রাস্তা থেকে ব্যাগ তুলে দিচ্ছিল মিন্নির।
তিনি বলেন, এছাড়া রিফাত শরীফকে অ্যাম্বুলেন্সে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও মিন্নি রিফাতের সাথে বরিশাল যায়নি। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মিন্নিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান দুলাল শরীফ।
নিহত রিফাতের বাবা প্রশ্ন তুলে বলেন, পুলিশ কেন এখনও মিন্নিকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মিন্নির বাবা মো. মোজ্জাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, রিফাতের বাবা দুলাল শরীফের অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট এবং কাল্পনিক। তিনি আমাদের হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই এসব অভিযোগ আনছেন।
তিনি আরও দাবি করেন, মিন্নির শ্বশুর তার নিজের বুদ্ধিতে এসব করছেন না, কারো প্ররোচনায় পড়ে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আনছেন। দুলাল শরীফ শারীরিক এবং মানুষিক ভাবে অসুস্থ বলেও তিনি দাবি করেন।
কিশোর আরও বলেন, মিন্নি যদি জড়িত থাকে এ ব্যাপারে প্রশাসন অবশ্যই দেখতে পারে এ ব্যাপারে আমার কোন অভিযোগ নাই। মিন্নি এ মুহূর্তে শারীরিক এবং মানুষিকভাবে অসুস্থ বলেও দাবি তার বাবার।
গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে রিফাত শরীফকে। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২ জুলাই ভোররাতে মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়। এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত তিনজনসহ সাত আসামি হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
No comments