মামলা তুলে না নেওয়ায় বাবা-মাকে বেঁধে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ - Jashore24.com

শিরোনাম

মামলা তুলে না নেওয়ায় বাবা-মাকে বেঁধে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ

গণধর্ষণ
মামলা তুলে না নেওয়ায় বাবা-মাকে বেঁধে মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ 

ধর্ষণ চেষ্টার মামলা তুলে না নেয়ায় চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসনের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার রাতে ওই ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে মা-বাবাকে মারধর করে বেঁধে রেখে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। রোববার দুপুরে ওই ছাত্রীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা আলমডাঙ্গা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে নতিডাঙ্গা গ্রামের জয়নালের ছেলে লাল্টু (৩৫), মৃত সভা ঘোরামীর ছেলে শরীফুল ইসলাম (৪০) ও মিলনের ছেলে রাজু (৩০)। ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসনের বাসিন্দা ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে গত ১ মাস আগে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ভিকটিম মাদ্রাসাছাত্রীর মা শীলা খাতুন বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

মাদ্রাসাছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রায়ই নানভাবে হুমকি দিতো আসামিরা। গত তিন দিন আগেও হুমকি দিয়ে বলা হয় মামলা তুলে না নিলে তোর মেয়েকে ধর্ষণ করা হবে।

মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা জানান, রোববার ছিল ওই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের ধার্যদিন। ঠিক এর আগের দিন শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লাল্টু, রাজু ও শরফিুল লাঠিসোটা নিয়ে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাদেরকে মারপিট শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাদের দুই জনকে হাত-পা বেঁধে আমার মেয়ে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে একটি শ্বশান ঘাটের কাছে বাঁশ বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমরা ভোরের দিকে মেয়েকে উদ্ধার করি।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, গণধর্ষণের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর আমরা দ্রুত মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিক্যালের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। একই সাথে এ ঘটনায় নির্যাতিত মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবার মামলা দায়ের করার পর আমরা অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি লাল্টুকে গ্রেফতার করি।

No comments

close