যশোর কোতয়ালি থানা থেকে গুরুত্বপূর্ন তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে - Jashore24.com

শিরোনাম

যশোর কোতয়ালি থানা থেকে গুরুত্বপূর্ন তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে

যশোর কোতয়ালি থানা
যশোর কোতয়ালি থানা থেকে গুরুত্বপূর্ন তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে 

যশোর কোতয়ালি থানা থেকে গুরুত্বপূর্ন তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। থানার সেরেস্তার দায়িত্ব প্রাপ্তরা অপরাধিদের কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। একই সাথে সেরেস্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। পাশাপাশি আবাসিক হোটেল থেকেও আদায় করা হচ্ছে নিয়মিত চাঁদা।

সূত্র গুলি জানিয়েছে, হত্যা, ধর্ষন, চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধের ঘটনার ভুক্ত ভোগিরা আইনি সহায়তা ও জানামালের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। নিয়মানুযায়ি থানার ওসির নির্দেশে ডিউটি অফিসার মামলা গ্রহন করেন। মামলা রেকর্ড হওয়ায় পর সেরেস্তার দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে আদালতে পাঠানোর জন্য মামলার কপি দেওয়া হয়। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোতয়ালি থানার সেরেস্তার দায়িত্ব প্রাপ্তরা মামলার কপি আদালতে পাঠানোর আগেই দুধর্ষ আপরাধিদের কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলার তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছে। ফলে অপরাধীরা সহজেই নিরাপদে আত্মগোপনে চলে যেতে পারছে।

গত ২৪ জুলাই দুপুরে শহরতলীর চাঁচড়ার ভাতুড়িয়ায় মৎস্য ব্যবসায়ি ইমরোজ হত্যা কান্ডের পর নিহতের পিতা নারায়নপুরের মৃত ওসমান আলী মোড়লের ছেলে নুরইসলাম মহুরি ওই রাতেই কোতয়ালি থানায় লিখিত এজাহার দেন। কিন্তু কোতয়ালি পুলিশ ২৪ জুলাই এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড না করে পরের দিন ২৫ জুলাই মামলা রেকর্ড করেন। এই সময়ের মধ্যে আসামিদের কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলার তথ্য ফাঁস করা হয় বলে সূত্র গুলি দাবি করেছে। এভাবেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কোতয়ালি থানা থেকে দুর্ধর্ষ অপরাধি মামলার আসামিদের তথ্য ফাঁস করা হচ্ছে।

সূত্র গুলি বলেছে, থানার সেরেস্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এস আই আমির হোসেনের সহযোগিতায় কনসটেবল শহীদুজ্জামান শহীদ টাকার বিনিময়ে অপরাধীদের কাছে তথ্য ফাঁস করে দিচ্ছে। একই সাথে এস আই আমির হোসেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে। পাশাপাশি শহরের শতাধিক আবাসিক হোটেল থেকে নিয়মিত চাঁদা উঠানো হচ্ছে।

সূত্র গুলি জানায়, শহরের অধিকাংশ আবাসিক হোটেল নিয়ম না মেনে পরিচালনা করা হয়। তাছাড়া আবাসিক হোটেল গুলো সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আখড়া। সন্ত্রাসীরা অপরাধ সংঘঠিত করে শহরের বিভিন্ন হোটেলে রাত কাটায়। কিন্তু পুলিশ কোন হোটেলে অভিযান চালায় না। এর বিনিময়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় শহরের হোটেল গুলো থেকে একজন প্রতিনিধি রেজিষ্ট্রার নিয়ে থানায় যেয়ে স্বাক্ষর করিয়ে হোটেল ব্যবসা বৈধ করে নেয়। বিনিময়ে কোতয়ালি পুলিশ হোটেল গুলো থেকে মাসিক মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে। হোটেলের চাঁদা আদায়ের কাজেও কোতয়ালি থানার সেরেস্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত বকশি শহিদ সহোযোগিতা করে। প্রতিদিন তিনি হোটেলের রেজিষ্ট্রারে স্বাক্ষর করে অবৈধ হোটেল ব্যবসার বৈধতা দেন।

এব্যাপারে জানার জন্য কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।

No comments

close