যশোরে নতুন করে আরো ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী আক্রান্ত
যশোরে নতুন করে আরো ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী আক্রান্ত |
যশোরে ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। প্রতিদিন নতুন রোগীর হাসপাতালে ভর্তি হলেও সোমবার-রোববারের চেয়ে ৮ জন কম ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সোমবার ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪ জনকে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল যশোরে ভর্তি করা হয়। আগের দিন রোববার ভর্তি হয়েছিল ৩২ জন। এ নিয়ে হাসপাতালে মোট ৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি চলে গেছে ১৩ জন।
এপর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে (২১ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত) ২৪৮ জন। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি চলে গেছে ১৪০ জন। মারা গেছে ১ জন। সোমবার পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিল ১০৭ জন। হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটস কেনার জন্য ১০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। একই সাথে সিভিল সার্জনকে দেয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সোমবার বিকেল পর্যন্ত নতুন আরো ২৪ জন হাসাপাতালে ভর্তি হয়। এদিকে প্রতিদিন রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি এই হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ের এনএস১, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষার সব ব্যবস্থাই রয়েছে হাসপাতালে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন দিলিপ কুমার রায় জানান, ডেঙ্গু সনাক্তের প্রাথমিক রিএজেন্ট এনএস-১ বর্তমানে হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান আছে। এছাড়া ব্লাডের সিবিসি ও প্লাটিলেট কাউন্ট হাসপাতালে ফ্রি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এখন ডেঙ্গু রোগীদের আর আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষা করতে বাইরে যেতে হবে না। এসব পরীক্ষার কিটস কেনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় থেকে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসাপাতালে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে। একই সাথে সিভিল সার্জনকে দেয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা। এই দুই লাখ টাকা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেেপ্লক্সে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটস কেনা হবে।
সোমবার মন্ত্রনালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি স্ব-স্ব দপ্তরে পৌছায় বলে তত্বাবধায়ক আবুল কালাম আজাদ লিটু জানান। বাইরের সব ক্লিনিকেও আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষা সম্ভব। তবে কেউ বেশি টাকা নিলে সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, ডেঙ্গু রোগিদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা দেয়া হচ্ছে। প্রচার প্রচারনা চালানো হচ্ছে। লিফলেট বিতরন, ও মাইকং করা হচ্ছে। সবাইকে মশারির মধ্যে ঘুমানোর জন্য বলা হচ্ছে। বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে বলা হচ্ছে। যাতে খোলা জায়গায় পানি জমে না থাকে। বুধবার থেকে হাসপাতালে আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষা করা হচ্ছে। এদুটি পরীক্ষা হাসপাতালে ছিল না।
No comments