যশোরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন আরো ৩১ জন আক্রান্ত

যশোরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে নতুন আরো ৩১ জন আক্রান্ত 

যশোরে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার নতুন করে আরো ৩১ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় মোট ২১৬ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। 

এদিকে জনবল ও স্থান সংকটের কারণে সাধারণ রোগীদের সাথে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা-সেবা প্রদান করতে হিমসিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে সমস্যা সামাধানে জেলার এমপিরা না আসলেও এগিয়ে এসেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদাক ও সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার। কর্তৃপক্ষের অনুরোধে তিনি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ডেঙ্গু রোগীদের রাখার জন্য হাসপাতালের একটি বিল্ডিংয়ের দু'টি ইউনিট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে 'ডেঙ্গু কর্ণার' করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষকে। ফলে এই ইউনিট দুটিতে শুধু মাত্র ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা অবস্থান করবেন এবং খোলা মেলা ভাবে রোগীদের সেবা প্রদান করা যাবে। এর আগে তিনি ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষার এনএস-১ ডিভাইজ হাসপাতালে প্রদান করেন।

সোমবার দুপুরে হাসপাতালে 'ডেঙ্গু কর্ণার' কাজের অগ্রগতী দেখতে ও ডেঙ্গু রোগীর খোজ-খবর নিতে হাসপাতালে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদাক শাহীন চাকলাদার।

সোমবার ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে ৩১ জন। এখন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে ৯২ জন রোগী। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৩ জন ও বেসরকারি ক্লিনিকে ২৯ জন। গত ২১ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গিয়েছে ২১৬ জন।

এই রোগীরদের জন্য সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের বিশেষ কেয়ার নেওয়া হচ্ছে। তবে কিটস স্বল্পতার কারনে রোগীর পরীক্ষা ব্যহত হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। এ বাদেও হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের সাথে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হওয়ার কারণে স্থান সল্পতা দেখা দিয়েছে। ফলে মেডিসিন, শিশু ও সংক্রামণ ওয়ার্ডে ঠাসা-ঠাসি করে রোগীদের রেখে চিকিৎসা-সেবা দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। ফলে রোগীরা হাসপাতালে আরও বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী হাসপাতালে প্রতিটি ওয়ার্ডে সাধারণ রোগীদের পাশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এতে করে সাধারণ রোগীদের মাঝে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। বিষয়টি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদাক শাহীন চাকলাদার জানতে পেরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হাসপাতালের একটি ভবনের দুটি ইউনিট পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে রোগী রাখার উপযুক্ত করে দিয়েছেন।