'ঢেলে দেই' বক্তা তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা - Jashore24.com

শিরোনাম

'ঢেলে দেই' বক্তা তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা

তাহেরী
'ঢেলে দেই' বক্তা তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলা 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মুখে এখন একটা বাক্য শোনা যাচ্ছে; আর সেটা হল 'ঢেলে দেই'। সেই ভাইরাল হওয়া আলোচিত বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত সৃষ্টির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। 

রোববার(০১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল। 

মামলার বাদী ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাহেরীর বিরুদ্ধে পিটিশন মামলার আবেদন জমা দিয়েছি। মামলা গ্রহণের বিষয়ে এখনো শুনানি হয়নি। 

মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, ইসলাম ধর্মের পথপ্রদর্শক হজরত মুহম্মদ (সা.) এর আদর্শ ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নাচ-গান সমর্থন করে না। ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ী আসামির কর্মকাণ্ড মুনাফেকির শামিল। ওয়াজের মধ্যে গান গাওয়া ইসলাম সমর্থন করে না। এক ব্যক্তির উক্তি দিয়ে তার বিড়ি খাওয়ার দোয়াটিও ইসলামের কোথাও নেই। তার এসব বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়েছে। 

'বসেন বইসা যান, ঢেলে দেই' এসব বাক্য ওয়াজে ব্যবহার করা হয়, যা সম্পূর্ণ অশ্লীল। ইসলাম ধর্মে এ রকম শব্দের উল্লেখ নেই। কিছু ইউটিউবারকে তিনি ধান্দাবাজ বলেও উল্লেখ করেন। 

এর আগে, তাহেরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও নজরদারীতে রাখা হয়েছিল। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া ৬ সুপারিশ 

১. ওয়াজি হুজুররা যেন বাস্তবধর্মী ও ইসলামের মূল স্পিরিটের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন, সেজন্য তাদের প্রশিক্ষণ ও উদ্বুদ্ধকরণের ব্যবস্থা করা। এক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন ও কমিউনিটি পুলিশের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। 

২. যারা ওয়াজের নামে হাস্যকর ও বিতর্কিত বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট করার চেষ্টা চালান, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রো-অ্যাকটিভ উদ্বুদ্ধকরণ। 

৩. অনেক আলেমের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রির মতো উচ্চশিক্ষা ব্যতীত যারা ওয়াজ করেন, তারাই জঙ্গিবাদ ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তাই মাদরাসায় উচ্চ শিক্ষিত ওয়াজকারীদের নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা। 

৪. অনেকেই আছেন, যারা হেলিকপ্টারযোগে ওয়াজ মাহফিলে যোগ দেন এবং ঘণ্টাচুক্তিতে বক্তব্য দিয়ে বিশাল অঙ্কের অর্থ গ্রহণ করেন। তারা নিয়মিত ও সঠিকভাবে আয়কর প্রদান করেন কি-না, তা নজরদারির জন্য আয়কর বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি করা। 

৫. ওয়াজি হুজুরদের বক্তব্য স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক সংরক্ষণ ও পর্যালোচনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া এবং উস্কানিমূলক ও বিদ্বেষ ছড়ানোর বক্তব্য দিলে তাদের সতর্ক করা। প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে তাদের ওয়াজ করার অনুমতি না দেয়া। 

৬. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদানকারীদের আইনের আওতায় আনা।

No comments

close