যশোরে পুত্রবধূূ ধর্ষণের কথা স্বীকার শ্বশুরের
যশোরে পুত্রবধূূ ধর্ষণের কথা স্বীকার শ্বশুরের |
যশোরে কিশোরী পুত্রবধূকে একাধিকবার ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে শ্বশুর আমিন মিয়া। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিক আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আমির মিয়া সদর উপজেলার সাড়াপোল এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে।
এ দিকে ওই কিশোরী বধূকে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সেল্টার হোমে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
জবানবন্দিতে আমিন মিয়া জানিয়েছে, তার ছেলে ইব্রাহিম প্রেম করে বিয়ে করে ওই কিশোরীকে। ছেলে রঙ মিস্ত্রীর কাজ করতো। মাঝে মধ্যে সে কাজের কারণে বাইরে থাকতো। ছেলে বৌ ঘরে ও তারা বারান্দায় ঘুমাতো। বিয়ের পর তার ছেলে বৌ বিভিন্ন সময় তার মোবাইল নিয়ে গেম খেলতো ও গান শুনতো। এসব নিয়ে ছেলে বৌয়ের সাথে বিভিন্ন কথাবার্তা হতো তার।
ঈদের পরে একদিন রাতে ছেলে বৌকে তার কাছে আসতে বলে আমিন মিয়া। গভীররাতে ছেলে বৌ তার কাছে আসলে সে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর বিভিন্ন সময়ে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বহুবার ধর্ষণ করেছে বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে আমিন মিয়া।
মামলায় অভিযোগে জানা গেছে, ৩ মাস আগে সাড়াপোল গ্রামের আমিন মিয়ার ছেলে ইব্রাহিমের সাথে ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় তার শ্বশুর জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
এ ব্যাপারে কিশোরী তার স্বামী ও শাশুড়িকে জানালে তারা কোনো প্রতিবাদ করেনি। এরপর তার শ্বশুর কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখে। গত ৩০ আগস্ট কিশোরী তার খালার বাড়ি শেখহাটি বেড়াতে যায়। শনিবার তার শ্বশুর ফোন দেয় এবং খালার বাড়ি আসে। শ্বশুর ছেলে বৌয়ের সাথে কথা বলার একপর্যায়ে চুমু দিতে বলেন। এ কথা তার খালা শুনতে পেয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে কিশোরী সব ঘটনা খুলে বলে। এরপর পুলিশ আমিন মিয়াকে আটক।
এ ব্যাপারে কিশোরীর শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামীকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলায় আটক আমিন মিয়াকে গতকাল আদালতে সোপর্দ করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে এ জবানবন্দি দেন।
No comments