যশোরে চাকরির দেয়ার নামে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
যশোরে চাকরির দেয়ার নামে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ |
যশোরের রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উঠেছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টায় প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের নূরুল ইসলাম নামে এক যুবক এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে নূরু ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালের ৬ মার্চ রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থগারিক পদে নিয়োগের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর বিদ্যালয়ের সভাপতি এড. সোহরাব হোসেন ও প্রধান শিক্ষক বিএম জহিরুল পারভেজ তার কাছে ৭ লাখ টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে আমি চাকরি লাভের আশায় তাদের দু'জনকে ৭ লাভ টাকা প্রদান করি। কিন্তু বিজ্ঞপ্তির নিয়ম অনুযায়ী চাকরিপ্রার্থীদের জন্য কোন পরীক্ষা বা সাক্ষাতকারের ব্যবস্থা না করে ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ২য় বারে মত পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এ সময় আমি তাদের প্রতারণা বুঝতে পেরে আমার দেওয়া টাকা ফেরতের জন্য তাদের দু'জনের কাছে দেন-দরবার করতে থাকি। কিন্তু তারা আমাকে নানা অজুহাত দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে ২০১৬ সালের ২০ জুন ৩য় বারের মত পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী তারা নিয়োগ বোর্ড গঠন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করে। এ সময় তারা বলেন, নিয়োগ পরীক্ষায় আপনি প্রথম হয়েছেন তাই কোন চিন্তা করবেন না। খুব দ্রুত আপনার চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হবে, তবে নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা না দিলে বোর্ডের কর্মকর্তারা রেজুলেশনে স্বাক্ষর করবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমি সরল বিশ্বাসে পুনরায় আরও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা তাদেরকে প্রদান করি। কিন্তু কয়েকদিন পর জানতে পারি ওই পদে আমাকে নিয়োগ না দিয়ে চিন্তা সেন নামে আরেকজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ সময় আমি বিষয়টি নিয়ে তাদের দু'জনের সাথে যোগাযোগ করে আমার টাকা ফেরত দিতে বলি। প্রথমদিকে তারা আমার টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললেও এখন তারা অস্বীকার করছেন।
তিনি বলেন, আমার বাবা চরম অসুস্থ। আমার একটি প্রতিবন্ধী ছেলে আছে। তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়মিত খরচ করতে হয়। আমি জমিজমা বিক্রি করে চাকরির জন্য টাকা দিয়ে সর্বশান্ত হয়ে এখন পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তাই এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বিএম জহিরুল পারভেজের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা নেওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ঘোষণা অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে যোগ্য প্রার্থীকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কারও কাছ থেকে কোন প্রকার টাকা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা। আমার ও সভাপতির বিরুদ্ধে যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
ঐ জানোয়ার সভাপতি এবং হেডমাসটারকে সব টাকা দিতে হবে
ReplyDelete