আগামী ১০ বছরে দেশ হবে বেকার শূন্য : অর্থমন্ত্রী - Jashore24.com

শিরোনাম

আগামী ১০ বছরে দেশ হবে বেকার শূন্য : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী
আগামী ১০ বছরে দেশ হবে বেকার শূন্য : অর্থমন্ত্রী 

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী ১০ বছর বাংলাদেশের জন্য সোনালী যুদ্ধের সময়। এ সময়ের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন দেশে আর কোনো বেকার থাকবে না। 

নতুন প্রজন্মকে সোনালী এ যুদ্ধে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করেছি। আর সোনালী যুদ্ধের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আনা হবে অর্থনৈতিক মুক্তি।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় হোটেল ফুড প্যালেস মাঠে আয়োজিত উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত ২০টি দেশের সারিতে পৌঁছাতে হবে। এজন্য দেশকে ভালোবেসে, দেশের প্রতি মমতা রেখে ও একযোগে সকলকে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে উন্নত বিশ্বের সারিতে নেওয়া হবে। আর এর মধ্য দিয়েই পূরণ হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন।

এর আগে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এমপি। এ সময় বক্তব্যকালে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রধান জোগানদাতা হলো ছাত্রলীগ। তাই ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও মহিলা লীগ নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রিক্রুটের সময় যাচাই-বাছাই করে কর্মী নিয়োগ করবেন। দলে কোনো ডাকাত, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদকসেবীর প্রয়োজন নেই। সৎভাবে রাজনীতি করলে মানুষ অন্তর থেকে শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় এমপি ও সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, এক সময় চৌদ্দগ্রামে ছিল জামায়াতের অত্যাচারে। আমরা সাহস হারাইনি। জনগণের সঙ্গেই ছিলাম বলে জনগণ আবার আমাদের সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, রাজনীতির পথ অনেক লম্বা। কাজেই ধৈর্য হারালে চলবে না। কেউ দরদ দিয়ে আওয়ামী লীগ করলে দল তাকে মূল্যায়ন করে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মনেপ্রাণে ধারণ করেই তৃণমূলের রাজনীতির মাধ্যমে আমি বর্তমান অবস্থানে এসেছি। এ সময় পদপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা পদ-পদবী পাবেন তারা দলের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করবেন। আর যারা পদ পাবেন না তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই, ভবিষ্যতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।

আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এ সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভূঁইয়া হাসানকে আগামী তিন বছরের জন্য পুনরায় সভাপতি ও রহমত উল্লাহ বাবুলকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।

এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া হাসানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী ইলিয়াস মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, চৌদ্দগ্রামের পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, জিএম মীর হোসেন মিরুসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

No comments

close