যশোরে ২ ডজন ধর্ষণের আসামি আটক - Jashore24.com

শিরোনাম

যশোরে ২ ডজন ধর্ষণের আসামি আটক

যশোরে ২ ডজন ধর্ষণের আসামি আটক
যশোরে ২ ডজন ধর্ষণের আসামি আটক 

যশোরে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি ভুয়া সেনা সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর দুই ডজন নারীকে সে ধর্ষণ করেছে বলেও জানতে পারে পুলিশ। 

আটককৃত আশরাফুল মোল্যা ওরফে সুমন আর্মি ওরফে সুমন হাসান নড়াইলের সদর উপজেলার বোড়ামারা গ্রামের আকবর মোল্যার ছেলে।

আটকের সময় পুলিশ চারটি সেনাবাহিনীর ভুয়া আইডি কার্ড, তিনটি ভুয়া জাতীয় পরিচয় পত্র, একটি ক্যাপ, একটি সেনাবাহিনীর নেম প্লেট সংযুক্ত জ্যাকেট, একটি সুয়েটার, ১৩টি সিম কার্ড, একটি মেমোরি কার্ড (যার মধ্যে একাধিক ধর্ষণের ভিডিও ধারণ) ও দুইটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর)গভীর রাতে পুলিশ তাকে আটক করে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাঘারপাড়ায় একটি ধর্ষণ মামলার আসামিকে আটকের জন্য পুলিশ সোমবার গভীর রাতে যশোর শহরের শংকরপুর জমাদ্দারপাড়ায় অভিযান চালায়। এ সময় রওশন আলীর বাড়ি থেকে ধর্ষক সুমনকে আটক করা হয়।

আটকের পর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে সুমন স্বীকার করেছে, ঝিকরগাছা উপজেলার কলেজ ছাত্রীকে বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া গ্রামে নিয়ে ধর্ষণ, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ এবং পরবর্তীতে ওই কলেজ ছাত্রীর বাবার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দাবি করেছে।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর থানার ২টি, রাজশাহী বাঘা থানায় ১টি এবং যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার একটি প্রতারণার মামলা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ জানান, আটক সুমন বিভিন্নভাবে প্রতারণার মাধ্যমে দুই ডজন নারীকে ধর্ষণ করেছে। উদ্ধারকৃত মেমোরি কার্ডে অধিকাংশ ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা রয়েছে। এসব ভিডিও দৃশ্য দেখিয়ে ধর্ষিতার অভিভাবকদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছে। তার পরিচয় সঠিক ভাবে না পাওয়া এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার পরিচয় দেওয়ায় মানসম্মানের ভয়ে টাকা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নারীরা ঝামেলা মিটিয়েছে। আর ধর্ষণের শিকার অধিকাংশই কলেজছাত্রী বলে জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তহিদুল ইসলাম জানান, সুমনের ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় এবং ভালোবাসার নাটক সাজিয়ে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে অভিভাবকের নিকট মোটা অংকের টাকা আদায়ের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে তিনি দাবি করেন।

No comments

close