বুলবুলের কারণে কলাপাড়ার ৮ গ্রাম প্লাবিত - Jashore24.com

শিরোনাম

বুলবুলের কারণে কলাপাড়ার ৮ গ্রাম প্লাবিত

বুলবুলের কারণে কলাপাড়ার ৮ গ্রাম প্লাবিত
বুলবুলের কারণে কলাপাড়ার ৮ গ্রাম প্লাবিত 

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকূলীয় এলাকার ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল' এর কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে কলাপাড়ার আটটি গ্রাম। রাবনাবাদ নদের জোয়ারের পানিতে সাগর পাড়ের বানাতিপাড়া, চাড়িপাড়া, নয়াকাটা, চৌধুরীপাড়া, নাওয়াপাড়া, ছোট পাঁচ নম্বর, বড় পাঁচ নম্বর ও মুন্সীপাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

লালুয়া ইউনিয়নের ৪৭/৫ নম্বর বন্যানিয়ন্ত্রণ ভেঙে পড়ে আছে বাঁধ বহুদিন ধরে। যার কারণে রাবনাবাদ নদের পানি ভাঙন কবলিত অংশ দিয়ে ঢুকে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস বলেন, ৮টি গ্রামের কমপক্ষে ৮-১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে পানিবন্দী এসব মানুষকে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলায় ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্র দুর্গত মানুষকে আশ্রয় দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। ৯০০-১২০০ মানুষ প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন। ১৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় পৌনে দুই লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে।

এদিকে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমান জানান দুপুর একটা পর্যন্ত ১০ হাজার লোক উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। কলাপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাইকিং করা সত্ত্বেও মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন না।

কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহম্মদ আলী জানান, পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে সকাল ৬টা থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি জানান কলাপাড়ার ১২টি ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাথে পুলিশের একটি করে দল কাজ করছে।

এদিকে শুক্র, শনি ও রোববার তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে বেড়াতে এসে পর্যটকেরা আটকা পড়েছেন। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, আটকে পড়া পর্যটকের সংখ্যা দুই-তিন হাজারের মতো হতে পারে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে অতি উৎসাহী অনেক পর্যটক সাগরে গোসল করতে নামেন। কুয়াকাটা পর্যটন পুলিশের পরিদর্শক মো. জহিরুল ইসলাম জানান, 'মাইকিং করে এসব পর্যটককে হোটেলে ফিরে যেতে বলা হয়। আমাদের কথা না শুনে অনেকে সাগরের পানিতে নেমে গোসল করতে থাকেন। পরে জোর করে সেসব পর্যটককে হোটেলে চলে যেতে বাধ্য করা হয়।

তা ছাড়া বিপদ এড়াতে কুয়াকাটা সৈকতে নামার প্রধান সড়কসহ জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে চলাচল আটকে দেওয়া হয়েছে। পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যাতে পর্যটকসহ কোনো মানুষ সৈকতে না নামতে পারেন।

No comments

close