সন্ধ্যায় দেশে আসছে বাদলের মরদেহ, কাল দাফন
সন্ধ্যায় দেশে আসছে বাদলের মরদেহ, কাল দাফন |
বর্ষীয়ান রাজনীতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল-এর মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে। আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তার পৌঁছাবে। দাফন করা হবে কাল শনিবার।
মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালে জাতীয় সংসদ প্লাজায় প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে মরদেহ চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে নেওয়া হবে।
এরপর বিকেল ৩টায় নগরীর জমিয়তুল ফালাহ্ জামে মসজিদ ময়দানে আরও একটি নামাজে জানাজা হবে। একইদিন বাদ আসর বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ মাঠে ও বাদ মাগরিব সারোয়াতলী ইব্রাহীম নূর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আরও দুটি নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম-আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল।
অভিজ্ঞ এই রাজনীতিক ও সংসদ সদস্যের মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করেন রাজনীতিবিদরা। মরদেহে দ্রুত দেশের আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তার মৃত্যুতে গভীর ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আজও যার প্রতিবাদি কণ্ঠ সরব থাকার কথা, অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে খবর আসে সেই বলিষ্ঠ কণ্ঠ থেমে গেছে। তিনি একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাসদের কার্যকরি সভাপতি ও সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদল।
বৃহস্পতিবার ভোরে ভারতের একটি হাসপাতালে মারা যান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। নিয়মিত চেকআপের জন্য ১৮ অক্টোবর ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণ হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে যান বাদল। সেখানে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির তত্ত্বাবধানে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার মৃত্যুতে বন্ধ হয়ে গেলো প্রতিবাদী এক কণ্ঠ। তার মৃত্যু দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করেন রাজনীতিবিদরা।
এরইমধ্যে পরিবারের সদস্যরা ভারতে উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখানে সব প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুতই তার মরদেহ দেশে আনা হবে। মঈনউদ্দীন খান বাদলের মরদেহ দেশে আনতে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মহাজোটের হয়ে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। প্রতিটি অধিবেশনেই থাকতো তার ক্ষুরধার বক্তব্য দেশ ও জনগণের জন্য।
সংসদে দেয়া নিজের শেষ ভাষণে দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ না হলে সংসদ থেকে পদত্যাগের কথা বলেছিলেন মঈন উদ্দিন খান বাদল। তবে তার আগেই চলে গেলেন দেশপ্রেমিক এই রাজনীতিক।
একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাসদের কার্যকরি সভাপতি ও সংসদ সদস্য মঈনউদ্দীন খান বাদলের জন্ম ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্র"য়ারি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে। একাত্তরের রণাঙ্গনে জীবনবাজি রেখে লড়েছেন দেশমাতৃকার জন্য। জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে তার অবদানের কথা।
No comments