করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে বেনাপোল বন্দর এলাকা
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার রোধে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা জারিতে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী প্রবেশ বন্ধ থাকলেও বাংলাদেশ অংশে এ পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় সচল রয়েছে বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম ও ভারত থেকে ফিরছেন যাত্রীরা। ফলে এ ভাইরাসটি এপথে দিন সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সতর্কতা হিসাবে এখনই যদি ভারতের মত বন্দর ও ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্থগিত করা না হয় তবে এর মারাত্মক খেসারত গুণতে হতে পারে। আর বন্দর ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বলছেন, সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় পাসপোর্ট যাত্রী প্রবেশ বা পণ্য খালাস প্রক্রিয়া সচল রাখা হয়েছে।
জানা যায়, দেশের চলমান ১১টি বন্দরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আর বেশি রাজস্ব দাতা বেনাপোল স্থলবন্দর। প্রতিদিন এ পথে ভারত থেকে প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হয় ২শ ট্রাক পণ্য। চীনের করোনা ভাইরাসে আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত সংক্রমণের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশ ভারত। দিন অবস্থা আরো ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সংক্রমণ বিস্তার এড়াতে ইতিমধ্যে ভারত সরকার গত ১৩ মার্চ থেকে বাংলাদেশিসহ বিদেশিদের ভারতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পরবর্তীতে ১৫ মার্চ দুই দেশের মধ্যে বাস-রেল ও বিমানে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। ২৩ মার্চ বন্ধ করে এপথে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য। এবং সর্বশেষ ২৪ মার্চ নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দেরকেও দেশে ফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে সতর্কতা হিসাবে বাংলাদেশে পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমদানি,রফতানি বাণিজ্য বা পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচলে কোনো বিধি নিষেধ জারি করা হয়নি। ফলে এখনও সচল রয়েছে ভারত থেকে পাসপোর্ট যাত্রীদের ফেরত আসা এবং ঝুঁকি নিয়ে বন্দরে আমদানি পণ্য খালাস কার্যক্রম। এতে সবাই আছে আতঙ্কের মধ্যে।
বন্দর বাসী আলী আশরাফসহ কয়েকজন বলেন, প্রতিবেশ দেশ সংক্রমণ বিস্তার রোধে আমদানি,রফতানি বাণিজ্য,পাসপোর্টযাত্রী পারাপার বন্ধ ছাড়াও লকডাউন করেছেন। সংক্রমণ এড়াতে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ ও পাসপোর্টযাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। তা না হলে বড় খেসারত আমাদের গুণতে হবে।
বন্দরের শ্রমিক ও নিরাপত্তা কর্মী আনসার সদস্য বলেন, বন্দরের ডাকে এখনও তারা ঝুঁকির মধ্যে বন্দরে পণ্য খালাস ও নিরাপত্তার কাজ করছেন। বন্দর, কাস্টমস বা ব্যবসায়ী কেউ তাদের মাস্ক বা নিরাপদ সামগ্রী দেয়নি। আর এত দাম দিয়ে এসব কেনা শ্রমিকদের পক্ষে সম্ভব না।এতে তারা ও আতঙ্কের মধ্যে আছেন।
No comments