যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে সাকিব
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে সাকিব |
দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রে একটি হোটেলে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে আছেন। এই সময়ে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গেও দেখা করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এক ভিডিও বার্তায় তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শনিবার (২১ মার্চ) এইসব তথ্য জানান বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। ভিডিওতে তিনি এই ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন।
সাকিব আল হাসান বলেন, 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে মহামারি বলে আখ্যায়িত করেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। আপনারা এরই মধ্যে জেনেছেন, আমাদের দেশে কয়েকজন করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া গেছে। আমাদের এখনই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সতর্কতাই পারে আমাদের দেশকে আর আমাদের সুস্থ রাখতে।'
তিনি বলেন, 'কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললে আমরা এ রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারব। আমাদের দেশকেও মুক্ত রাখতে পারব। যেমন সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় সঠিক শিষ্টাচার মেনে চলা। বিদেশফেরত যদি কেউ থাকে তবে তার নিজেকে ঘরে রাখা এবং যেন ঘরের বাইরে না যান সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে, আত্মীয় স্বজন বা বাইরের মানুষ আপনার সঙ্গে এসে যেন দেখা করতে না পারে। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে যা খুবই জরুরি।' এছাড়াও বাংলাদেশ সরকার, স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে, এগুলো সম্পর্কেও অবগত হবেন এবং সেভাবে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবেন।'
তবে মানুষকে আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন সাকিব আল হাসান। তিনি আরও বলেন, 'আর একটা কথা অবশ্যই বলতে চাই, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। আমার মনে হয় না এটা কোনো ভালো ফল বয়ে আনতে পারবে। আমি খবরে দেখেছি, অনেকে ৩, ৪, ৫ বা ৬ মাস পর্যন্তও খাবার সংগ্রহ করছেন। আমার ধারণা, খাবারের সংকট কখনওই হবে না ইনশাআল্লাহ। আমরা কেউ না খেয়ে মারা যাব না। তাই আমরা আতঙ্কিত না হই। আমাদের সঠিক সিদ্ধান্তই পারে আমাদের এর থেকে রক্ষা করতে। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই সেটা সম্ভব। আশা করি, সবাই ভালো থাকবেন এবং প্রয়োজন ছাড়া কেউ ভ্রমণ বা বাড়ির বাইরে বের হবেন না।'
No comments