চৌগাছায় ৮৪০ জনকে খুঁজছে পুলিশ, কোয়ারেন্টিনে ২০ জন

চৌগাছায় ৮৪০ জনকে খুঁজছে পুলিশ, কোয়ারেন্টিনে ২০ জন 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিদেশ ফেরত সব নাগরিককে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার সরকারি নির্দেশনা মানছেন না অনেকে। তথ্য গোপন করে পরিবারের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন বেশিরভাগ প্রবাসী।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত একমাসে যশোরের চৌগাছা উপজেলায় বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সংখ্যা ৮৬০ জন। তবে উপজেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন মাত্র ১৭ জন। যার ১৪ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টিনের আওতায় নেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ২০ জনকে কোয়ারেন্টিনের আওতায় নেয়া হলো। এদিকে আগে থেকে কোয়ারেন্টিনে রাখা ৩ প্রবাস ফেরত ব্যক্তি ও ইতালি ফেরত এক দম্পতি পরিবারের ৬ জনকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। যারা ওই দম্পতির সংস্পর্শে এসেছিলেন। অর্থাৎ উপজেলায় ৮৪০ প্রবাস ফেরৎ ব্যক্তির কোন হদিস নেই। এছাড়া ২১ এবং ২২ তারিখেও কয়েক ব্যক্তি চৌগাছায় এসেছেন। তাদেরও হদিস নেই। অন্যদিকে বেনাপোল স্থল বন্দর হয়ে ভারত থেকে এসেছেন এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে কোয়ারেন্টিনের বাইরে।

এ বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার বলেন, নতুন করে ১৪ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া আগের ১২ জনের মধ্যে ৯ জনকে কোয়ারেন্টিন মুক্ত করা হয়েছে। ফলে বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ১৭ জন।

চৌগাছা উপজেলা ইউএনও জাহিদুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত তালিকার ১৪ জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় খুঁজে নতুন করে কোয়ারেন্টিনের আওতায় নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুরনোদের মধ্যে ৯ জনকে মুক্ত করা হয়েছে। যাদের ৬ জন ইতালি ফেরৎ দম্পতি পরিবারের সদস্য।

চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব বলেন, তথ্য অনুযায়ী লুকিয়ে থাকা প্রবাসীদের সন্ধান করা হচ্ছে। তাদেরকে খুঁজে হোম কোয়ারন্টিনের আওতায় আনা হবে।