যশোর শহরের রাস্তা একেবারে ফাঁকা
যশোর শহরের রাস্তা একেবারে ফাঁকা |
করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে সব প্রকার গণপরিবহন বন্ধ হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) যশোরের বাস টার্মিনাল ও রেলস্টেশন ছিল জনশূন্য। সেই সঙ্গে সড়কে মানুষের চলাচল একেবারে নেই বললেই চলে। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। মানুষকে ঘরে রাখতে অব্যাহত রয়েছে সেনাটহল। সেই সঙ্গে সঙ্কট মোকাবিলার প্রস্তুতিগুলো খুঁটিয়ে দেখছে জেলা প্রশাসন। এদিকে বিপনন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যশোর থেকে প্রকাশিত স্থানীয় সব দৈনিক পত্রিকা।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশও। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে আজ থেকে সারাদেশে সব প্রকার গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে যশোরের সড়কে মানুষের চলাচল একেবারে নেই বললেই চলে। তবে সড়কে কিছু রিকশা ও ইজিবাইক চালকসহ জরুরি কাজে কিছু মানুষকে বের হতে দেখা গেছে।
আব্দুর রহমান নামে এক রিকশাচালক বলেন, ঘরে ৫টি মুখ। দিনে যা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চলে। সকালে বের হয়েছি। কিন্তু রাস্তায় লোকজন নেই বললেই চলে। মাত্র ৫০ টাকা ভাড়া খাটিছি। এখনও বাড়ি চলে যাব।
অবশ্য মানুষকে ঘরে রাখতে আজ সকাল ১০টা থেকে শহরের প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে সেনাটহল দিতে দেখা গেছে। টহলের পাশাপাশি সঙ্কট মোকাবিলার প্রস্তুতিগুলো খুঁটিয়ে দেখছেন তারা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ শফিউল আরিফ বলেন, মানুষ যাতে ঘরে থাকে সেজন্য আমরা উদ্ভুদ্ধ করছি। যারা মানবে না তাদের ওপর আইন প্রয়োগ করব। আজকে আমরা শহর পরিক্রমা করেছি। মানুষ বাইরে আছে কীনা দেখার জন্য। সেইসাথে করোনা আক্রান্ত রোগী পেলে তার ব্যবস্থাপনায় যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যশোরে ৮ প্লাটুন সেনা নামানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো নামবে।
এদিকে বিপনন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে যশোর থেকে প্রকাশিত সব দৈনিক পত্রিকা। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ ছুটি বলবত থাকবে বলে ঘোষণা করেছে যশোর জেলা সংবাদপত্র পরিষদ।
যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজের বার্তা সম্পাদক শিকদার খালিদ জানিয়েছেন, গতকাল রাতে কাজ করে স্বাধীনতা দিবসের ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় ২৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত করোনা ইস্যুতে যশোর সংবাদপত্র পরিষদের ঘোষিত পত্রিকা বন্ধের সিদ্ধান্তও কর্মীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
No comments