করোনার লক্ষণ থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ পরীক্ষার বাইরে
করোনার লক্ষণ থাকলেও সারাদেশে বেশিরভাগ মানুষ পরীক্ষার বাইরে রয়েছেন। চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভাগীয় শহরগুলোতে ল্যাবের সংখ্যা বাড়লে আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে। সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে ঘরে রাখার বিষয়ে কোন শিথিলতা না করে বরং আরও কিছুদিন বাড়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, মার্চের প্রথম বিশ দিনে বিদেশ থেকে এসেছেন ২ লাখ ৯৩ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে মাত্র ২৫ হাজারের মতো বাড়িতে অথবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে গেছেন। বাকিরা কি করছে তা জানা নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন বলছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সঠিক পরিসংখ্যন জানতে টেষ্ট করানোই প্রধান কাজ। তখন দেশে টেষ্টের বাইরে থেকে যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।
তবে, আশার কথাও শোনাচ্ছেন এই চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, করোনা আক্রান্ত ৮১ শতাংশ রোগী সুস্থ্য হয়ে যান। বাকী ১৯ শতাংশের মধ্যে ১৪ ভাগ অক্সিজেন পেলেই সুস্থ্য হন। বাকি পাঁচ ভাগ রোগী থাকে ঝুঁকিপূর্ন, যাদের বয়স ৬০ এর উপরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ ভাগ মানুষ শ্বাষকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন। সংখ্যায় যা প্রায় দুই কোটি। ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটির বেশী। করোনায় এরাই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ আক্রান্তরা রয়েছেন এই তালিকায়। তাই তাদের ব্যাপারে বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
No comments