যশোরে কোয়ারেন্টাইনে ৩৭০৫ জন, ছাড়পত্র ২৭৪২ নমুনা সংগ্রহ ২২৩, পজেটিভ ১ - Jashore24.com

শিরোনাম

যশোরে কোয়ারেন্টাইনে ৩৭০৫ জন, ছাড়পত্র ২৭৪২ নমুনা সংগ্রহ ২২৩, পজেটিভ ১

যশোর
যশোরে কোয়ারেন্টাইনে ৩৭০৫ জন, ছাড়পত্র ২৭৪২ নমুনা সংগ্রহ ২২৩, পজেটিভ ১ 

গত ৩৭ দিনে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মোট ৩ হাজার ৭শ' ৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৬শ' ৫২ জন ও হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয় ৩ হাজার ৫৩ জনকে। এই সময়ের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হতে ২শ' ৫৬ ও হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে ২ হাজার ৪শ ৮৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, কোভিড-১৯ আক্রান্ত সন্দেহে শনিবার পর্যন্ত ২শ ২৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১শ ১৯ জনের। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে ১ জনের। বাকি ১শ ১৮ জনের ফলাফল নেগেটিভ। এদিকে শনিবার পর্যন্ত যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এদিন ভর্তি হন ১ জন রোগী।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ জানান, করোনাভাইরাস সন্ধানে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে শনিবার ৪ জন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।এরমধ্যে ৩ জন ভর্তি রোগী ও ১ জন বর্হিবিভাগের রোগী রয়েছেন। এরআগে যে রিপোর্টগুলো হাতে পেয়েছেন তাদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলেনি।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ১০ মার্চ থেকে যশোরে জোরালোভাবে কার্যক্রম শুরু হয়। ২৫ মার্চ থেকে নমুনা সংগ্রহ শুরু করা হয়। জ্বর-সর্দি কাশিতে আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে যশোরবাসীর জন্য আপাতত কোন দুঃসংবাদ নেই। তবে সুসংবাদ হলো করোনায় আক্রান্ত মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেই কর্মী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নমুনা পরীক্ষায় তার স্ত্রী সন্তানের শরীরেও করোনার সংক্রমণ মেলেনি। সিভিল সার্জন আরো জানান, শনিবার দ্বিতীয় বারের মতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে করোনাভাইরাস শনাক্তে ২৭ জনের নমুনা পাঠানো হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত তিনি রিপোর্ট তার হাতে পৌঁছায়নি । যবিপ্রবিতে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হওয়ায় যশোর ছাড়াও ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইলের রোগীদের নমুনা এখানে সহজে পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। এতে অনেকটা সুবিধা হয়েছে বলে জানান তিনি। সিভিল সার্জন জানান, করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ সব সময় সজাগ রয়েছে। মোট ৩শ ২ জন চিকিৎসক ও ৩শ ২৫ জন সেবিকা প্রস্তুত রয়েছেন। সাড়ে ৪শ শয্যা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সূএ: ডেলি স্পন্দন

No comments

close