করোনার আতঙ্ক জয় করে চলছে কুইন্স হসপিটাল
করোনার আতঙ্ক জয় করে চলছে কুইন্স হসপিটাল |
কোভিড-১৯ নভেল করোনা ভাইরাস আতংকের মধ্যেও চালু রয়েছে যশোরের বেসরকারি কুইন্স হসপিটাল। সংকটময় এই পরিস্থিতিতে সরকারি নিয়মনীতি মেনেই চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে হসপিটালের প্রবেশ মুখে পৌঁছানোর পর রোগী ও স্বজনদের শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য হ্যান্ড থার্মার স্ক্যানার ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত রোগী দেখছেন। সেবিকা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভয়কে জয় করে দায়িত্ব পালন করছেন। সকল প্রকার প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা অব্যাহত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়ানোর পর গত ২১ মার্চ থেকে যশোরের অধিকাংশ বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে রোগী দেখা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকেরা। এখনো পর্যন্ত চিকিৎসকেরা চেম্বারে রোগী দেখছেন না। চিকিৎসকের অভাবে প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কিন্তু ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে কুইন্স হসপিটালে। চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চলছে আগের মতোই। চিকিৎসক ও নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য পিপিই ব্যবহার করছেন। এছাড়া সর্বোচ্চ সতর্কতাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে রোগী দেখার কাজে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. শরিফুল আলম খান, নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা. এস এম নাজমুল হক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আমিনুর রহমান, গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. নার্গিস আক্তার, ডা. শারমিন নাহার পলি, কিডনী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. উবায়দুল কাদির উজ্জলসহ অনেকেই। কুইন্স হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম হুমায়ূন কবীর কবু জানান, দেশের সংকটময় এই মুহূর্তে জনস্বার্থে কুইন্স হসপিটাল সব ধরণের চিকিৎসাসেবা চালু রাখা হয়েছে। বর্তমান সময়েও প্রতিদিন ৭/৮ জন রোগীর ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। এছাড়া এমআরআই ও সিটিস্ক্যানসহ সকল প্রকার প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা চালু রাখা হয়েছে। প্রসূতিসেবা , শিশুসেবা, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, জরুরি অপারেশন কার্যক্রম চলছে। চিকিৎসকরা মানবিক পেশার সাথে জড়িত। সাধারণ রোগীদের কথা বিবেচনা করে সকল চিকিৎসককে ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সব রোগীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে আসে না। তারপরেও এর ঝুঁকি এড়াতে চিকিৎসকরা সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে কার্যক্রম চালাতে পারে। তবে এই মুহুর্তে জ্বর ঠান্ডা কাশিতে আক্রান্তদের হাসপাতালে না এসে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সূএ: ডেলি স্পন্দন
No comments