হঠাৎ সবাই ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে কেন!
হঠাৎ সবাই ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে কেন! |
করোনার কারণে জীবন ঘরবন্দি। নতুন কোনো কিছুই করার ইচ্ছে করছে না। বাড়ির রোজকার রুটিন আর তার সঙ্গে বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের আপডেট। বিশ্বের একাধিক দেশে জারি লকডাউন। করোনা ভাইরাসের প্রতিকারে আপাতত এই পথই নিয়েছে বেশিরভাগ দেশ। এই পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি মানুষ নিজের চেহারা পরিবর্তন করতে চুল কামিয়ে ফেলছেন।
এর কারণ হিসেবে বেশিরভাগেরই মত, আয়নার সামনে দাঁড়ালে যেন নতুন কাউকে দেখা যাচ্ছে বলে মনে হয়। এমনিতে সব কিছুই বন্ধ। সেলুন থেকে পার্লার সবেতেই তালা। তাই মাথা কামানোর কাজও নিজেরাই হাতে তুলে নিয়েছেন। আর এভাবে মাথা কামিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করছেন অনেকেই।
যাঁরা এভাবে ন্যাড়া করেছেন, তাঁদের একজন মাইকেল মধুসূদন ডিবেট ফেডারেশনের চেয়ারম্যান জহির ইকবাল। যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের এই বাসিন্দা বলেন, 'চুল পড়ে যাচ্ছে। শুনেছি, মাথা ন্যাড়া করলে চুল পড়া বন্ধ হয়। করোনাভাইরাসের কারণে বাড়িতেই থাকছি। ভাবলাম, এই সুযোগে মাথা ন্যাড়া করে ফেলি। যদি সুফল পাওয়া যায়। তাই চুল ফেলে দিলাম।'
যশোর শিক্ষা বোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহবুব উল্লাহও মাথা ন্যাড়া করেছেন। তিনি কর্মস্থল বন্ধ থাকায় এই কটা দিন যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকার বাড়িতেই আবদ্ধ। তিনি বলেন, 'চুল বেড়ে যাওয়ায় গরমে ঘেমে মাথা চুলকাচ্ছিল। এদিকে সেলুন সব বন্ধ। চুল ছাঁটিয়ে নেওয়ার উপায় নেই। বাড়িতে গিয়ে ছোট ভাইকে বললাম, ব্লেড ধর। মাথা ন্যাড়া করে দে।'
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. ইউনুচ আলী। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হওয়ায় যশোরের চৌগাছা উপজেলার হুগোলডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে আছেন। তিনি বলেন, 'অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল মাথা ন্যাড়া করার। কিন্তু লোকলজ্জার কারণে এত দিন ন্যাড়া করতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দিন ছুটি। তাই বাড়িতে এসেই আমরা তিন বন্ধু একসঙ্গে মাথা ন্যাড়া করে ফেলেছি। মাথা ন্যাড়া করা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে দিয়েছি। গরমে মাথা থেকে চুল ফেলে দিয়ে ভালোই লাগছে।'
No comments