শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের আহ্বান যবিপ্রবি ভিসির - Jashore24.com

শিরোনাম

শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের আহ্বান যবিপ্রবি ভিসির

শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের আহ্বান যবিপ্রবি ভিসির
শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া মওকুফের আহ্বান যবিপ্রবি ভিসির 

করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ (যবিপ্রবি) যশোরের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বাসা ভাড়া মওকুফ করার আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। 

বৃহস্পতিবার বিকালে বাড়ির মালিকদেরকে মেসের সিট ভাড়া মওকুফের আহ্বান জানিয়ে এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠান তিনি। 

চিঠিতে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন লেখেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফসল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠে রূপান্তর লাভ করেছে। এখানে দেশের সব জেলার প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। 

এ ছাড়া সরকারি এমএম কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজসহ যশোরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। এ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ আবাসিক না হওয়ায় অনেকে যশোর শহর, শহরতলী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে মেস বা বাসা নিয়ে থাকছেন। 

কিন্তু তাদের অধিকাংশই দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তাদের পড়াশোনার ব্যয় টিউশনি ও পার্টটাইমের জবের মাধ্যমে নির্বাহ হয়। কিন্তু বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব আজ কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের থাবায় থেমে আছে। 

যশোরেও এর মারাত্মক প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের অংশহিসেবে কেউ বাইরে যেতে পারছে না। ফলে আমার সন্তান সমতুল্য শিক্ষার্থীদের কোনো আয় নেই, তাদের পিতা-মাতাও কোনো অর্থের যোগান দিতে পারছেন না। 

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদেরকে বাসা-বাড়ির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ও দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি। 

একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যশোর জেলা শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর চিঠি দিয়েও এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।

সূএ: যুগান্তর

No comments

close