মণিরামপুরে ঝড়ে বোরো ক্ষেত লণ্ডভণ্ড - Jashore24.com

শিরোনাম

মণিরামপুরে ঝড়ে বোরো ক্ষেত লণ্ডভণ্ড

মণিরামপুরে ঝড়ে বোরো ক্ষেত লণ্ডভণ্ড 

একদিকে মহামারি করোনাভাইরাস, অন্যদিকে প্রচণ্ড শ্রমিক সংকট, তার ওপর কালবৈশাখির আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে যশোরের মণিরামপুরে বোরো ধানের পাকা ক্ষেত। ফলে ক্ষেতের পাকা ধান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, মণিরামপুরে ইতিমধ্যে ২০ ভাগ ধান ক্ষেত থেকে ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যমতে, এবার মণিরামপুরে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি। কিন্তু ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে এবার চাষের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়নি। এবার চাষ করা হয় ২৭ হাজার ৮শ' হেক্টর জমিতে। মৌসুমের শুরুতে অনুকূল আবহাওয়া এবং বীজ, সার, কিটনাশকের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় এবার ফলন হয়েছে বেশ ভালো। কিন্তু হঠাৎ করেই শুক্রবার কালবৈশাখির আঘাত এবং দিনভর বৃষ্টিতে ক্ষেতের পাকাধান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

খেদাপাড়া ইউনিয়নের গালদা গ্রামের কৃষক এনামুল হক সোহান জানান, তিনি ইতিমধ্যে ১৫ বিঘা জমির ধান কেটেছেন। কিন্তু শুক্রবারের ঝড় এবং দিনভর বৃষ্টিতে কাটাধান ক্ষেতেই তছনছ হয়ে গেছে। কৃষক আশরাফ হোসেন জানান, ঝড়বৃষ্টিতে তার ক্ষেতের ধানগাছ পড়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। শুধু সোহান অথবা আশরাফ নয়। আক্ষেপ করে ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, আবদুর রশিদসহ অধিকাংশ কৃষক জানান, ধারদেনা করে বোরো চাষ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান বাজার দর কম, তার ওপর ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষেতের ধান পড়ে ছয়লাব হয়ে গেছে। আবার মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকট থাকায় এ ধান নিয়ে তারা পড়েছেন মহাবিপাকে। পৌরশহরের পাইকারী ধান ক্রেতা মোদাচ্ছের আলী জানান, শুক্রবারের ঝড়বৃষ্টি কৃষকের পাকা ধানে মই দেয়ার সামিল। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় এবার বোরো ধান নিয়ে কৃষকের ভোগাািন্তর শেষ নেই।

পৌর শহরের দূর্গাপুর, কামালপুর, মহাদেবপুর এবং উপজেলার রাজগঞ্জ, নেঙ্গুড়াহাট, খেদাপাড়া, কাশিমনগর, ভোজগাতী, হরিহরনগর, মশ্মিমনগর, চিনাটোলা, নেহালপুর, দূর্বাডাঙ্গা, ঢাকুরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বোরো ধান নিয়ে এ ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার ঝড়বৃষ্টিতে বোরো ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে উপজেলার ২০ শতাংশ ধান ক্ষেত থেকে ঘরে তুলতে পেরেছেন। অন্যদিকে আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ১৫ দিনের মধ্যেই ক্ষেত থেকে বাকি ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে পারবে।

সূএ: প্রতিদিনের কথা 

No comments

close