বিয়ের চার মাসের মাথায় এমএম কলেজ ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক - Jashore24.com

শিরোনাম

বিয়ের চার মাসের মাথায় এমএম কলেজ ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

বিয়ের চার মাসের মাথায় এমএম কলেজ ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ - স্বামী আটক 
নড়াইলে বিয়ের চারমাসের মাথায় অনার্স পড়া স্ত্রীকে নির্যাতন শেষে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম বিথী খানম (১৯)। বিথী নড়াইল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাগবাড়ি-রঘুনাথপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের মেয়ে ও যশোর এমএম কলেজের অনার্সের ছাত্রী ছিলেন। গত চার মাস আগে সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের আব্দুল মোমেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মোমেনকে আটক করেছে।

নিহত বিথীর চাচা খালিদ হাসান জানান, গত চার মাস আগে বিথী-মোমেনের বিয়ে পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর পারিবারিক কলহের জের ধরে বিথীকে তার স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লাকজন নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন সইতে না পেরে বিথী গত দু'মাস আগে শ^শুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে আসে। গত দু'দিন আগে বিথীর স্বামীর বাড়ি যাওয়া নিয়ে সালিশ-মীমাংসা অনুষ্ঠিত হয়। বিথীর স্বামী মোমেন এবং তার বাড়ির লোকজন বিথীর উপর আর কোন নির্যাতন করবে না বলে মৌখিকভাবে অঙ্গীকার দিলে বিথীকে স্বামীর বাড়ি পাঠানো হয়। বিথী স্বামীর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পেয়ে বুধবার সকালে কমলাপুর গ্রামে গিয়ে ভাতিজী বিথীর লাশ দেখতে পাই বলে জানান বিথীর চাচা খালিদ জানান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতার মর্গে প্রেরণ করে।

নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, বিথী নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী মোমেনকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে এটি হত্যা ননা আত্মহত্যা।

সূত্র: সমাজের কথা

No comments

close