চায়ের দোকান বন্ধ করতে বলায় যশোরে আনসার সদস্যদের মারপিট, আটক ২
চায়ের দোকান বন্ধ করতে বলায় যশোরে আনসার সদস্যদের মারপিট, আটক ২ |
গত ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া আদর আলীর চায়ের দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আহত আনসার সদস্য মনিরুল ইসলাম চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় ১৮ মে রাতে মামলা করেছেন।
আটককৃতরা হলো, সদর উপজেলার চান্দুটিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মোফাজ্জেল হোসেন গাজী মোংলার ছেলে শামিম গাজী ও একই গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত শহর আলীর ছেলে টিটো মন্ডল।
এই মামলার পলাতক আসামিরা হলো, একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার সাখাওয়াত হোসেন ওরফে সাকার ছেলে আদর আলী ও ওমেদ আলী সরদারের ছেলে আজিজুর রহমান।
আনাসার সদস্য মনিরুল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তিনি নিজে এবং আসাদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন ও নুর নবী মহামারি করোনাকালে সরকারি দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমান সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। কিন্তু গত ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে একই গ্রামের আদর আলী চায়ের দোকান খোলা রাখেন এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে জনসমাগম ঘটান। সে কারণে তারা চারজন দোকানি আদর আলীর চায়ের দোকানে গিয়ে দোকান বন্ধ করতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে থাকা আদল আলী, শামিম, টিটো ও আজিজুর রহমানসহ কয়েকজনে নির্দেশনা না মেনে উল্টো একত্রিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় আসাদুল, ফারুক ও নূরনবীর উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে মারপিট, ছুরিকাঘাত করে পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায় আসামিরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এরপর বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের সাথে আলোচনা করে ১৮ মে কোতোয়ালি থানায় এই মামলা করেন। পুলিশ রাতেই শামিম ও টিটোকে আটক করে। মঙ্গলবার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সূত্র: ওয়ান নিউজ বিডি
No comments