গভীর রাতে করোনা রোগীকে বাড়ি থেকে বের করে দিল বাড়িওয়ালা
গভীর রাতে করোনা রোগীকে বাড়ি থেকে বের করে দিল বাড়িওয়ালা |
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আইসোলেশনে থাকা এক রোগীকে গভীর রাতে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন বাড়িওয়ালা। বুধবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার রূপসী বাগবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে আবার বাসায় তুলে দেয়া হয়।
করোনা আক্রান্ত ওই রোগীর মামা সিরাজুল ইসলাম জানান, তারা উপজেলার রূপসী বাগবাড়ি এলাকায় এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গত দুদিন আগে তার ভাগ্নের জ্বর অনুভব হয়। তারা নিজ উদ্যোগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দিলে গতকাল মঙ্গলবার তার ভাগ্নের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তাকে চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওই বাড়ির মালিক ও এলাকার লোকজন বুধবার রাত ১১টার দিকে সিরাজুল ইসলাম ও তার করোনা আক্রান্ত ভাগ্নেসহ পরিবারকে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। যেতে না চাইলে তাদেরকে মারধর করা হয়।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদেরকে বের করে দেয়া হলে আমাদের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মমতাজ বেগম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে ডাক্তার এবং পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও ওই ছেলের সাথে কথা বলেছি। এমন অমানবিক কাজ কেউ করতে পারে না।
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, সরকারি নির্দেশনা রয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগী যাদের কোনও উপসর্গ বা সমস্যা নেই তারা বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবেন। এখানে কোনও বাড়িওয়ালা চাপ দিয়ে ভাড়াটিয়াকে বের করে দিলে সেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে।
এ ব্যাপারে জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, করোনা আক্রান্ত ওই রোগীর কোনও উপসর্গ নেই। তাকে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু রাতে তাকে তার বাড়ি থেকে বাড়িওয়ালা ও এলাকার লোকজন বের করে দেয়ার বিষয়টি শুনেছি। এটা করা ঠিক হবে না। কারণ সব রোগীকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখতে পারব না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে রোগী ও তার স্বজন ওই বাড়িতে আইসোলেশনে থাকবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।
সূএ: আর টিভি অনলাইন
No comments