যশোরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে দোকান খুলে ব্যবসা করার অভিযোগ
যশোরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে দোকান খুলে ব্যবসা করার অভিযোগ |
ব্যবসায়ীদের দাবি, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাপুড়িয়া পট্টির মনসা বস্ত্রালয় সংলগ্ন ডাবলুকে মারপিট করে তার জুতা নিয়ে গেছে পুলিশ। পাশেই সুলতান নামে আরেক ব্যবসায়ীর দুই ডজন জুতা নিয়ে গেছে। এরপর হাটচান্নির কাপড় ব্যবসায়ী অনিককে মারপিট করে তার কাপড় নিয়ে গেছে। দুপুরের দিকে যশোর ক্লথ স্টোরের সামনে ভ্যানে করে কাপড় বিক্রেতা ইমামুল ইসলাম ইমামের কাছে যায়। কিন্তু পুলিশ দেখে ইমাম পলানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া করে পিটিয়ে তাকে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এরপর ইমামের গায়ে ময়লা মাখিয়ে দেয়। পাশাপাশি তার ১০ হাজার টাকা মূল্যের কাপড় নদীতে ফেলে দেয়া হয়। পরে কাপড় গুলো তুলে তাতে কাদা মাখা অবস্থায় ধুয়ে শুকানোর চেষ্টা করেন ইমাম। এরপর পাশেই ডায়না সু স্টোরে গত বৃহস্পতিবার হামলা চালায় সদর ফাঁড়ি পুলিশ। এসময় ডায়না সু'র ম্যানেজার নির্মল পালকে মারপিট করে।
ডায়না সূ'র মালিক আজাদুল কবীর বলেছেন, কিছুদিন আগে সদর ফঁাঁড়ি পুলিশের এএসআই শহীদুল ইসলাম তার কাছে এক জোড়া জুতা ফ্রি নিতে আসে। কিন্তু দোকান্দার ফ্রি না দেয়ায় সেই জেরে এদিন তাকে পিটিয়েছে। তারপরে বিমল নামে এক পুরনো জুতা ব্যবসায়ীকে বেদম মারপিট করে। শুধু তাই নয় তার কাছে থাকা ১৭ জোড়া জুতা নিয়ে গেছে।
এর কয়েকদিন আগে বাজারের হাটখোলা রোডে ১৫/২০ জন ব্যবসায়ীকে বেদম পিটিয়েছেন তুষার মন্ডল। বিষয়টি কোতোয়ালি মডেল থানার ওসিকে অবহিত করেন ব্যবসায়ীরা। পরে তুষার মন্ডল ভুল শিকার করেছেন বলে ব্যবসায়ীরা জালিয়েছেন। এব্যাপারে সদর ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক তুষার কুমার মন্ডল বলেন, সরকারি নির্দেশনা না মানায় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, চলমান করোনাভাইরাস থেকে জনগণকে রক্ষা করতে যশোর প্রশাসন গত মঙ্গলবার থেকে যশোরের সব মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও তা না মানায় সচেতন নাগরিকরা হতাশ হয়েছেন। তাদের দাবি বল প্রয়োগ করে হলেও জনসমাগম রুখতে হবে। মার্কেট বন্ধ রাখতে হবে।
সূত্র: লোকসমাজ
No comments