যশোরে এই প্রথম সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন নারী সার্জেন্ট অপান্বিতা বৈরাগী - Jashore24.com

শিরোনাম

যশোরে এই প্রথম সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন নারী সার্জেন্ট অপান্বিতা বৈরাগী

 

যশোরে এই প্রথম সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন নারী সার্জেন্ট অপান্বিতা বৈরাগী

যশোরে এই প্রথম সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন নারী সার্জেন্ট অপান্বিতা বৈরাগী।পুরুষের মতো নারীর পদচারণ এখন সব খানে। সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের মতো কঠিন কাজেও নিয়মিত হয়ে উঠেছে তাদের অংশগ্রহণ। খোলা আকাশের নিচে, রোদ-বৃষ্টি, ধুলা-বালি সয়ে হাজারো গাড়িঘোড়ার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন নারী সার্জেন্টরা। যশোরে এই প্রথম সড়কে মেয়ে ট্রাফিক দেখা গেল অপান্বিতা বৈরাগী নামের এক নারী সার্জেন্টের। এর আগে তিনি পাবনার ঈশ্বরদী ও খুলনা মেট্রো পলিটনে ট্রাফিক সার্জেন্ট হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সকাল থেকেই শহরের দড়াটানায় দেখা মেলে তার। তিনি তখন শহরের বেয়াড়া যান নিয়ন্ত্রণে কাজ করছিলেন। জেলা পর্যায়ে তিনিই যশোরের প্রথম নারী ট্রাফিক সার্জেন্ট।

খুলনার মেয়ে অপান্বিতা বৈরাগী জানান, ২০১৭ সালে তিনি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে যোগদান করেন। চাকরির বয়স ৫ বছর। এই সময়ে কখনো অনুভব করেননি এ পেশা নারীদের জন্য নয়। বরং সব সময় মনে করেন এটি চ্যালেঞ্জিং পেশা।

বৈরাগী বলেন, নিজের যোগ্যতা দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। একজন পুরুষও যে কাজ করছে, আমিও তা করছি। সবার কাজই সমান। এখানে কাউকে পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই। আসলে দেশের পুলিশ ব্যবস্থা এমনভাবে সাজানো, যেখানে মানুষের প্রত্যক্ষ সেবা করার সুযোগ রয়েছে। কেউ যদি এ পেশায় আসতে চায় সে ক্ষেত্রে তাদের জন্য বলব, এটি ভালো পেশা। জনগণের সেবা করার উদ্দেশ্যে আসুন। আমরাও চাই পুলিশে আরও অধিক হারে নারীর অংশগ্রহণ।ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে নারী হিসেবে কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় কিনা জানতে চাইলে বলেন, নারী সার্জেন্ট দেখে সবাই একটু তাকান। তবে এসব বিষয় হ্যান্ডেলিং করার প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়েছে। ছোটছোট কিছু বিষয় ছাড়া কোনও সমস্যা হয় না। তবে আস্তে-আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই পুলিশের ইউনিফর্মের প্রতি আকর্ষণ ছিল। যে ইউনিফর্ম পরে সব শ্রেণির মানুষকে সেবা দেওয়া সম্ভব।পুলিশ বাহিনীতে নারী সার্জেন্ট নিয়োগ-প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৪ সালে। সর্বশেষ সার্জেন্ট পদে নিয়োগের পরীক্ষায় অংশ নেন এক হাজার ৮৩৭ জন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৪৬ জন। সব প্রক্রিয়া শেষে নিয়োগ পান ২৮ জন। তারা রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষ করেন। এখন তারা ভাল আছেন।

ক্রেডিট: dailyswadhinmot.com

No comments

close