পুরস্কারে লাথি মেরে আজীবন নিষিদ্ধ হলেও লড়াই চালিয়ে যেতে চান জাহিদ

 পুরস্কারে লাথি মেরে আজীবন নিষিদ্ধ হলেও লড়াই চালিয়ে যেতে চান জাহিদ

পুরস্কারে লাথি মেরে আজীবন নিষিদ্ধ হলেও লড়াই চালিয়ে যেতে চান জাহিদ

বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়ে পুরস্কার গ্রহণের পর তা লাথি মারেন বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ। এ ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশন তাকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে। 

গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। আর রোববার (২৫ ডিসেম্বর) জরুরি সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ শরীর গঠন ফেডারেশন। আলোচনা শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, অখেলোয়াড় সুলভ আচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দেখিয়ে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে ফেডারেশন।

আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজের এ লড়াই চালিয়ে যেতে চান জাহিদ। যা করেছেন সেটা নিয়ে তিনি অনুতপ্ত নন বলেও জানান জাহিদ। 

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে জাহিদ হাসান শুভ বলেন, চোরদের কাছে ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা। জুতা পেটা করা উচিত তাদের। ওরা আমাকে কী ব্যান করবে আমি এই ফেডারেশনকে বয়কট করছি। 

জাহিদ আরও বলেন, আপনারা চুরি করবেন, সেটা ধরিয়ে দিলেই ব্যান করে দিবেন। যা করেছি ঠিকই করেছি। যা করেছি বুঝে শুনেই করেছি। চোরের মুখে লাথি দিয়েছি। দুর্নীতিকে লাথি দিয়েছি। তারা একটা বানোয়াট জাজমেন্টের দ্বারা আমাকে দ্বিতীয় বানিয়েছে। আমার বডি কন্ডিশন হিসেব করা হলে কোনভাবেই সেকেন্ড হওয়ার কথা না। তারা একটা বানোয়াট রেজাল্ট দিয়ে আমাকে সেকেন্ড ঘোষণা করে।

বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ বলেন, লাথিটা আমি পুরস্কারে নয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মেরেছি। শুধু বডিবিল্ডার সেক্টর না অন্য যে কোনও সেক্টরে যদি দুর্নীতি হয় তাহলে এরকমভাবে প্রতিবাদ করা উচিত। আর আমি চাই আমার যে প্রাপ্য অধিকার সেটা যেন আমি ফিরে পাই।