বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার শহর! - Jashore24.com

শিরোনাম

বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার শহর!


 বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার শহর!

গত দুদিন ধরে অতিবৃষ্টিতে কক্সবাজারের শতাধিক জনপদ পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানি প্রবেশ করে জেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ার আশংকায় রয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার ফলে আবারো বড় ধরনের বন্যার আশংকা রয়েছে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা শিবিরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর প্রবল বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারে কলাতলী, সুগন্ধাসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সড়ক -উপসড়ক হাঁটু পানিতে ডুবে যায়৷ উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বেশ কয়েকটি বসতি ডুবে যায়।  

এছাড়াও উপজেলার চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, রামু,  উখিয়া, টেকনাফ, ঈদগাও এবং কক্সবাজার সদরের নিম্নাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে । সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বীজতলা, পানের বরজ এবং সবজি ক্ষেত। এরইমধ্যে ৮ উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁকখালি এবং মাতামুহরী নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন করে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

টেকনাফ সদর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, টেকনাফে দুই দিনের ভারি বর্ষণে ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে  টানা বৃষ্টিতে টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, টেকনাফ সদর , বাহারছড়া শামলাপুর ও সাবরাং ইউনিয়নের অনেক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে। 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী বলেন, জেলায় পাহাড় ধসে মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি ও তিনজন রোহিঙ্গা। 

কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদফতরের সহকার আবওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৮৮ থেকে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সব মাছ ধরার নৌকা গুলোকে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান নিয়ে নিরাপদে থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি।  

No comments

close